প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব শাহ আব্দুর রউফ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ। 👎
রংপুরের অন্যতম বরেণ্য ব্যক্তি শাহ আব্দুর রউফ ১৮৮৯ সালে রংপুর বিভাগের পীরগঞ্জ উপজেলার মুকিমপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল শাহ কলিম উদ্দীন এবং মাতার নাম ছিল মোছাঃ কছিমুন্নেছা। তার পিতার ১৫ সন্তানের মধ্যে ( ৯ পুত্র , ৬ কন্যা ) শাহ আব্দুর রউফ ছিলেন ৫ম। তার সহধর্মিনী মোছাঃ সালেমা বেগম।শিক্ষা জীবন এবং মৃত্যু।
শাহ আব্দুর রউফ রংপুরে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যলয় থেকে প্রথমে B.A এবং পরে B.L ডিগ্রী অর্জন করে আইনি পেশায় নিযুক্ত হয়ে জনকল্যানে আজীবন কাজ করে যান। ১৯৩৭ সালে তৎকালীন লাট বাহাদুরের কাছে করোনেশন মেডেল এবং তার ২ বছর পর ১৯৩৯ সালে তিনি সরকার কর্তৃক খাঁন বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত হন। সবকিছুর পাশাপাশি তিনি নিজেকে সাহিত্য চর্চায় নিয়োজিত রেখেছিলেন।
এরই সুবাদে ১৯৩৭ সালে তার কাব্য গ্রন্থ "চতুর্দশী " এবং ১৯৪০ সালে আত্মজীবনী মূলক বই "আমার কর্মজীবন" প্রকাশিত হয়। খাঁন বাহাদুর এডঃ শাহ আব্দুর রউফ সাহেবের স্বরচিত কবিতার কয়েকটি লাইন।
দুনিয়ার চাকচিক্য ভুলো নারে মন,
অতীব অস্থায়ী ইহা রাখিও স্মরণ।
জীবন ক্ষণস্থায়ী ও মৃত্যু সুনিশ্চিত,
বৃথা নষ্ট করা জীবন নয়ে কো উচিৎ।
১৯৭৭ সালে ৩০ মার্চ তিনি ইন্তেকাল করেন। ষ্টেশন রোড আলমনগর পানামা মোড়ে বরকতদিয়া দরবার শরীফ এলাকায় তাকে দাফন করা হয়।
পীরগঞ্জ শাহ আব্দুর রউফ কলেজ, পীরগঞ্জ। তার নাম অনুসারে করা হয়।
পীরগঞ্জ কছিমুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পীরগঞ্জ। তার মাতার নাম অনুসারে করা হয়।
রংপুর সালেমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রংপুর। তার সহধর্মিনীর নাম অনুসারে করা হয়।
পীরগঞ্জ শাহ আব্দুর রউফ কলেজ, পীরগঞ্জ। তার নাম অনুসারে করা হয়।
পীরগঞ্জ কছিমুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পীরগঞ্জ। তার মাতার নাম অনুসারে করা হয়।
রংপুর সালেমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রংপুর। তার সহধর্মিনীর নাম অনুসারে করা হয়।

0 Comments